অরাজ
শিল্পী: কাজিমির ম্যালেভিচ
প্রচ্ছদ » জিগমুন্ট বম্যানের সাক্ষাৎকার: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো একেকটা ফাঁদ

জিগমুন্ট বম্যানের সাক্ষাৎকার: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো একেকটা ফাঁদ

  • অনুবাদ: মিনহাজুল ইসলাম

[অনুবাদকের ভূমিকা: জিগমুন্ট বম্যান একজন পোলিশইহুদি সমাজবিজ্ঞানী। তিনি ১৯২৫ সালে পোল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৩৯ সালে হিটলার পোল্যান্ড দখল করার পরপরই তার পিতামাতা সোভিয়েত ইউনিয়নে পালিয়ে যান। ১৯৫৪ সালে তার পরিবার ইজরায়লে চলে যায় কিন্তু বম্যান সোভিয়েতে থেকে যান। ওয়ার্সো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ সম্পন্ন করে সেখানেই প্রভাষক হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত তিনি পোল্যান্ডেই ছিলেন। সমাজবিজ্ঞানী ও দার্শনিক বম্যান ‘কম্যুনিস্ট’ সরকারের রাজনৈতিক দমনপীড়নের কারণে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন ও নাগরিকত্ব হারান। এরপরে ইংল্যান্ডে বসবাস করতে শুরু করেন। তিনি আধুনিকতা, উত্তরাধুনিকতা, তরল আধুনিকতা ও ভোগবাদ নিয়ে বিস্তৃত কাজ করেছেন। “তারল্য” ধারণা দিয়ে ব্যাখ্যা করেছেন রাষ্ট্র, পুঁজিবাদ, নজরদারি ও শাসনব্যবস্থা, ভয় ও প্রেমভালোবাসা ইত্যাদি। ১৯৭০ সালে তিনি ইংল্যান্ডের লীডস বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা শুরু করেন। বাউম্যান জায়নবাদবিরোধী ছিলেন এবং বিশ শতকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চিন্তাবিদ হিসেবে নিজেকে প্রকাশ করেন। তার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বইয়ের মধ্যে রয়েছে, Liquid Modernity (1999), Liquid Love (2003), Liquid Life (2005) Does the Richness of the Few Benefit Us All? (2014) ইত্যাদি। লীডস বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক হিসেবে তিনি ইংল্যান্ডেই বাকি জীবন কাটান। তার বেশ কয়েকটি কাজের জন্য তিনি আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে ২০১০ সালে পাওয়া স্পেনের প্রিন্স অব অস্টারিয়াস এ্যাওয়ার্ড। বর্তমান সাক্ষাৎকারটি EL PAÍS অনলাইন পোর্টালে ২০১৬ সালের ২৫ জানুয়ারি প্রকাশিত হয়।]

জিগমুন্ড বম্যান

আপনি বৈষম্যকে এক ধরনের টিউমার (metastasis) হিসেবে বর্ণনা করেছেন। আপনার কী মনে হয়? গণতন্ত্র কি হুমকির মুখে?

এ মুহূর্তে যা চলছে আমরা তাকে গণতন্ত্রের সংকট বলতে পারি। আমাদের হর্তাকর্তারা শুধুমাত্র দুর্নীতিগ্রস্ত কিংবা নির্বোধই নয়; অদক্ষও বটে— এই ধারণা থেকে আমাদের আস্থায় ধ্বস নেমেছে। কোনো কর্ম সম্পাদনের জন্য দরকার ক্ষমতা ও সক্ষমতা এবং এ কারণে আমাদের প্রয়োজন হয় রাজনীতির; কারণ রাজনীতি হলো কোনো কাজ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতা। কিন্তু জাতিরাষ্ট্রের হাতে থাকা ক্ষমতা ও রাজনীতির যে পরিণয় তা ফুরিয়ে এসেছে। ক্ষমতার বিশ্বায়ন ঘটে গেছে। কিন্তু রাজনীতি তো আগের মতোই স্থানীয় রূপেই আছে। রাজনীতি তার আবেদন হারিয়েছে। মানুষ এখন আর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বিশ্বাস রাখে না কারণ এই ব্যবস্থা তার প্রতিশ্রুতি রাখে নাই। উদাহরণস্বরূপ আমরা যদি অভিবাসন সংকটকে দেখি, এটা তো একটা বৈশ্বিক ঘটনা কিন্তু তারপরও আমরা এটাকে সঙ্কীর্ণভাবে একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের সমস্যা হিসেবে দেখি। গণতন্ত্র রক্ষার্থে যে প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের হাতে আছে সেগুলো আদৌ এ ধরনের পারস্পরিক নির্ভরশীলতা রক্ষার কথা মাথায় রেখে উদ্ভাবিত হয়নি। বর্তমানে গণতন্ত্রের যে সংকট তা মূলত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংকট।

আপনার মতে এই মুহূর্তে, স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার মধ্যকার যে পেন্ডুলাম তা কোনটির দিকে বেশি দুলছে?

এ দুটি এমন ধারণা বা মূল্যবোধ যাদের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান করা অত্যন্ত জটিল। আপনি যদি বেশি নিরাপত্তা চান আপনাকে একটা নির্দিষ্ট মাত্রার স্বাধীনতায় ছাড় দিতে হবে; অন্যদিকে আপনি যদি বেশি স্বাধীনতা চান সেক্ষেত্রে আপনাকে নিরাপত্তার বিষয়টিকে বলা যায় ত্যাগ করতে হবে। এটা এক ধরনের উভয়সঙ্কট যা চিরদিনই চলতেই থাকবে। চল্লিশ বছর আগে আমরা বিশ্বাস করতাম যে স্বাধীনতার জয় হয়েছে এবং আমরা ভোগবাদের খাই খাইয়ে মজে গেলাম। সবকিছুই যেন টাকা ধার করে পাওয়া যেতো— বাড়ি, গাড়ি, ইত্যাদি এবং পরে কোনো একসময় ঋণ চুকিয়ে দিলেই হলো। ২০০৮ এ যখন সব ঋণ শুকিয়ে গেল, আমাদের যেন টনক নড়ল, অর্থাৎ মহা তারল্যের সংকট। এই যে এক সর্বনাশ হলো, যার ফলাফল এমন আর্থসামাজিক অধঃপতন যা বিশেষ করে মধ্যবিত্তকে তীব্র আঘাত করল; এমন এক বিপজ্জনক অবস্থায় তারা পতিত হলো যেখানে তাদের কিছুই করার ছিলো না। তারা জানে না তাদের কোম্পানি অন্য কোম্পানিতে বিলীন হয়ে যাবে কি না কিংবা তাদেরকে ছাঁটাই করা হবে কি না, তারা যা খরিদ করেছে তা আদৌ তাদের কি না। দ্বন্দ্বটা আর শ্রেণিসমূহের মধ্যে নয়; প্রত্যেকের সাথে প্রত্যেকের এবং ব্যক্তির সাথে সমাজের দ্বন্দ্ব। এটা কেবলমাত্র আর নিরাপত্তার অভাবই নয়; বরং স্বাধীনতার অভাবও বটে।

আপনি বলে থাকেনযে প্রগতি স্রেফ একটি মিথ মাত্র, কেননা মানুষ এখন আর এটা বিশ্বাস করে নাযে অনাগত দিনগুলো অতীতের তুলনায় ভালো হবে।

আমরা এক ধরনের মধ্যবর্তী সময়ে আছি। বলতে পারেন এমন দুইটা সময়ের মধ্যে আটকা আছি, যে সময়ে আমাদের ব্যাপক নিশ্চিন্তি ছিল এবং আরেকটা সময় যখন আমরা বুঝলাম যে পুরানো পদ্ধতি আর কোনোভাবেই কাজ করছে না। এরকম দুইটা সময়ের মাঝামাঝি আমরা আছি বলা যায়। আমারা জানি না ঠিক কোন অবস্থার দ্বারা পূর্বের অবস্থা প্রতিস্থাপিত হবে। আমরা নানা কিসিমের পরীক্ষানিরীক্ষা তথা বিভিন্ন নতুন নতুন পদ্ধতি ঝালিয়ে নিচ্ছি বটে। ১৫ মে’র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্পেন বিদ্যমান ব্যবস্থাকে প্রশ্ন করার চেষ্টা করেছিল, যখন স্পেনের লোকজন বিভিন্ন জনপরিসরে জমায়েত হয়েছিল, যুক্তিতর্ক চালিয়েছিল, সংসদীয় প্রক্রিয়াকে বদলিয়ে এক ধরনের প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র কায়েমের চেষ্টা চালিয়েছিল। ওটা বেশিদিন টেকে নাই। [সরকারের] ব্যয় সংকোচন নীতি অব্যাহত থাকবে, এটাকে থামানো মুশকিলই হবে। তবু, নতুন পদ্ধতি অন্বেষণের ক্ষেত্রে [আন্দোলনের এসব নানা পরীক্ষানিরীক্ষা] তুলনামূলকভাবে কাজে লাগবে।

আর্টওয়ার্ক: ফ্রিডম অব থটস
শিল্পী: ইগোর লাকিয়ানচেনকো
সূত্র: কার্টুন মুভমেন্ট

আপনি যুক্তি দিয়েছেনযে ১৫ মে কিংবা অকুপাই আন্দোলনের মতো আন্দোলনগুলো বিদ্যমান ব্যবস্থাকে নাড়া দিতে জানে ঠিকই, কিন্তু এসব আন্দোলন থেকে নিরেট কিছু বের হয়ে আসে না।

কোনো একটা সাধারণ লক্ষ্য হাসিলের উদ্দেশ্যে মানুষজন নিজেদের মধ্যকার সকল ভেদাভেদ দূরে সরিয়ে রেখে জনপরিসরে একত্রিত হয়। যদি সেই লক্ষ্য নেতিবাচক হয় এবং কারোর প্রতি জনরোষ উদগীরণ সংশ্লিষ্ট হয়, সেক্ষেত্রে লক্ষ্য হাসিলের সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। একদিক থেকে দেখলে এটা ঐক্যের জোয়ার, কিন্তু এ ধরনের জোয়ার অনেক শক্তিশালী হলেও এর স্থায়ীত্ব কম।

আপনি তো এটাও মনে করেনযে বৈচিত্রপূর্ণ সামাজিকনৃতাত্ত্বিক ও রাজনৈতিক জোটগুলোতে স্বভাবতই নেতাদের কোনো স্থান নাই।

ঠিক এ কারণেই, অর্থাৎ নের্তৃত্ব থাকে না বলেই আন্দোলনগুলো টিকে থাকে, আবার অন্যদিক নের্তৃত্ব না থাকার কারণে এসব আন্দোলন তাদের লক্ষ্যবোধকে কার্যে রূপান্তরিত করতে ব্যর্থ

স্পেনের ‘১৫ মে’ আন্দোলন একটি নতুন রাজনৈতিক শক্তির জন্ম দিয়েছে।

এক রাজনৈতিক দলের বদলে আরেক রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসার ফলে তেমন কোনো সমাধান হবে না। রাজনৈতিক দলগুলো আসলে সমস্যা না, মূল সমস্যা হলো তাদের হাতে তেমন কোনো নিয়ন্ত্রণ নাই। স্পেনের সমস্যা আসলে বৈশ্বিক সমস্যার একটি অংশ। এটা ধারণা করা ভুল হবেযে দেশীয় পর্যায়ে এই সব সমস্যার সমাধান করা যাবে।

কাতালানের স্বাধীনতা সংগ্রাম প্রকল্প নিয়ে আপনার কী মত?

আমার কাছে মনে হয় আমরা এখনো সেই ভারসাই নীতির যুগকে অনুসরণ করছি যখন প্রত্যেকটি জাতির তাদের স্বশাসনের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু এখনকার দুনিয়ায় এটা একটা কল্পকাহিনি মাত্র, কারণ কোনো অঞ্চলই এখন আর সমরূপ নয়। বর্তমানে প্রত্যেকটা সমাজ হলো বিভিন্ন ধরনের অভিবাসীর সমষ্টি। মানুষজন যে সমাজের প্রতি অনুগত, সেই সমাজে বাস করে এবং কর দেয়, কিন্তু একই সাথে তারা তাদের আত্মপরিচয় ত্যাগ করতেও রাজি নয়। ভূমিকেন্দ্রিক আত্মপরিচয়ের ধারণা ভেঙ্গে পড়েছে। আপনি কোথায় থাকেন তার ওপর আর আপনার আত্মপরিচয় নির্ভর করছে না। কাতালোনিয়া স্কটল্যান্ড কিংবা লম্বারডি, যে অঞ্চলের কথাই বলেন না কেন, এসব জায়গায় যেটা চলছে সেটা হলো গোষ্ঠীগত পরিচয় এবং নাগরিক পরিচয়ের মধ্যকার দ্বন্দ্ব। কাতালানরাও ইউরোপিয়ান কিন্তু তারা মাদ্রিদ হয়ে নয়, সরাসরি বার্সেলোনার মাধ্যমে ব্রাসেলসের সাথে যোগাযোগ রাখতে চায়। প্রায় সকল দেশেই এই যুক্তির প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। আমরা এখনো প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী প্রতিষ্ঠিত নীতিমালা অনুসরণ করছি কিন্তু দুনিয়া এতদিনে অনেক বদলায় গেছে।

আর্টওয়ার্ক: ব্যালান্স অব ফ্রিডম
শিল্পী: রামিরো জাদোর্য়া
সূত্র: পলিটিক্যাল কার্টুন

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের তথাকথিত “আর্মচেয়ার অ্যাক্টিভিজম”এর ব্যাপারে আপনি বেশ সন্দিহান। সস্তা বিনোদোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট মানুষজনকে বেশ মূক বানিয়ে ফেলছে। তাহলে আপনি কি বলতে চানযে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হাল জমানার আফিম?

আত্মপরিচয়ের প্রশ্নটা কিন্তু আর জন্মগত নয়; বরং অনেকটাই কর্মের সাথে সম্পর্কিত। আপনাকে আপনার নিজস্ব সম্প্রদায় (কম্যুনিটি) তৈরি করতে নিতে হবে। কিন্তু কথা হলো সম্প্রদায় তৈরি করা যায় না; হয় আপনার কম্যুনিটি আগে থেকেই থাকবে অথবা থাকবে না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এটারই একটা বিকল্প কিছু তৈরি করে ফেলে। কম্যুনিটি আর নেটওয়ার্কের মধ্যে পার্থক্য হলো, আপনি কম্যুনিটির অংশ; অন্যদিকে, নেটওয়ার্ক আপনার অংশ। (নেটওয়ার্কে) আপনার মধ্যে বেশ একটা নিয়ন্ত্রকের ভাব চলে আসে। আপনি সেখানে আপনার ইচ্ছামতো বন্ধু বানাতে পারেন, আবার চাইলে ইচ্ছামতো তাদের অপসারণও করতে পারেন। কাদের আপনি গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন, আর কাদের সাথে আপনি সম্পর্কিত বোধ করেন, তা বেশ খানিকটা আপনারই নিয়ন্ত্রণে। মানুষ এক্ষেত্রে কিছুটা ভালো বোধ করে কেননা নিঃসঙ্গতা, অপাঙ্‌ক্তেয় হবার ভয়— এগুলো আমাদের এই ব্যক্তিবাদী যুগের মারাত্মক বিমার। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বন্ধুবান্ধব যুক্ত করা বা অপসারণ করা এত সহজযে মানুষ আসল সামাজিকতাটাই শিখতে ব্যর্থ হয়, অথচ এটাই আপনার সবচেয়ে বেশি দরকার যখন আপনি রাস্তাঘাট, বিভিন্ন জনপরিসরে যান, কর্মক্ষেত্রে যান, বিভিন্ন লোকজনদের সাথে মেশেন যেখানে আপনার গুরুত্বপূর্ণ মিথস্ক্রিয়ার প্রয়োজন হয়। পোপ ফ্রান্সিস—যিনি একজন বড় মাপের মানুষ—নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম সাক্ষাৎকারটাই দিয়েছিলেন ইতালিয়ান সাংবাদিক ইউজেনিও স্কালফারিকে, যিনি কি না একজন স্বঘোষিত নাস্তিক। এটাই প্রকৃত সংলাপের নিদর্শন: যাদের সাথে আপনার মত মিলে যায়, তাদের সাথে আলাপ করাকে প্রকৃত সংলাপ বলা যায় না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আমাদের এরকম প্রকৃত সংলাপ করতে শেখায় না কেননা এখানে যেকোনো ভিন্নমত এড়িয়ে চলা একদম সহজ। অধিকাংশ মানুষ সংঘবদ্ধ হওয়া কিংবা চিন্তার দিগন্তকে প্রসারিত করবার জন্য সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে না; বরং নিজেদেরকে বিচ্ছিন্ন একটি কমফোর্ট জোনে আবদ্ধ রেখে, নিজেদের কথার প্রতিধ্বনি শোনার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এস্তেমাল করে। সেখানে তারা স্রেফ আপন সুরতের প্রতিফলনই দেখতে পায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো মানুষকে বিনোদন দেয়ার জন্য খুবই উপকারী বটে, কিন্তু এই মাধ্যমগুলো একেকটা ফাঁদ।

মিনহাজুল ইসলাম

মিনহাজুল ইসলাম একজন গবেষণা কর্মী এবং ইতিহাস, দর্শন ও সামাজিক বিজ্ঞানের ক্রিটিকাল চিন্তা চর্চায় আগ্রহী।