অনুবাদ: বোধিচিত্ত
বোধিচিত্তর ভূমিকা: ইতালীয় দার্শনিক জর্জিও আগামবেনের এই লেখাটা il manifesto তে ২৬শে ফেব্রুয়ারি,২০২০ এ Lo stato d’eccezione provocato da un’emergenza immotivata শিরোনামে প্রথম প্রকাশিত হয়। যে রাষ্ট্রব্যবস্থার মধ্য থেকে এই জরুরী অবস্থা কায়েম ও জায়েজ করা হচ্ছে তার একটা ইশারামূলক ব্যাখ্যা এই লেখাটাতে আছে। বর্তমান পৃথিবীতে এমন এক পরিস্থিতিতে এই মহামারির সাপেক্ষে দেশে দেশে আমরা জরুরী অবস্থার সুতীব্র বাসনা এবং তা কায়েম হতে দেখছি তাকে আরও ভালোভাবে বুঝতে এই ইশারা কাজের হতে পারে। সন্ত্রাসবাদের বাইরে গিয়েও নজরদারী ও জরুরী অবস্থা আকাঙ্ক্ষিত ও অনুমোদিত হওয়ার একটা অছিলা হিসেবে Covid-19 মহামারি ক্রিয়াশীল আছে এমন এক রাষ্ট্রব্যবস্থার মধ্যে, যার ভেতর থেকেই মহামারি ডিসকোর্স হাজির হচ্ছে ও তা মোকাবিলায় সে রাষ্ট্রকাঠামোরই প্রাণভোমরা(জরুরী অবস্থা) ত্রাণকর্তা হিসেবে হাজির হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আগামবেনের সাথে পুরোপুরি একমত না হয়েও আমরা এই সমস্যায়ন জারী রাখতে পারি। এই জরুরী অবস্থার দিকে জিজ্ঞাসু চোখ নিয়ে তাকানো মানে বর্তমান পরিস্থিতিকে অস্বীকার করা নয়, বরং এইরকম পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের যৌথ অবস্থান কি কি রকমের হতে পারে নিরন্তর তারই অনুসন্ধান হাজির রাখা।
মূল রচনা
পরিস্থিতি যদি এইরকমই হয়, তবে গণমাধ্যম এবং প্রশাসন একটা আতঙ্কের পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করছে কেন? এমন একটা পরিস্থিতি যা আসল জরুরী অবস্থার উস্কানি দেয় এবং যা চলাচলের ওপরে তীব্র নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে ও পুরো অঞ্চলের প্রাত্যহিক জীবনকে রদ করে। এরকম একটা অসামঞ্জস্যপূর্ণ পদক্ষেপকে দুইটা বিষয়ের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে।
এরকম একটা অস্পষ্ট ও অনির্ণীত ফর্মুলা [সরকারকে] এই জরুরী অবস্থা সকল অঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত করার সুযোগ করে দিবে। যেহেতু এটা বাস্তবিকভাবেই অসম্ভব যে একই পরিস্থিতি অন্য জায়গায় তৈরি হবেনা।
আরেকটা যে বিষয় আছে সেটা হচ্ছে ভয়ের পরিস্থিতি যা সাম্প্রতিক কালে ব্যক্তির চেতনায় দ্রবীভূত হয়েছে এবং যেটা যৌথ-আতঙ্ক পরিস্থিতির একটা আসল জরুরতে রূপ নেয়। এই বিষয়টাও বেশ অশান্তিকর এবং যার জন্য এই মহামারি একটা আদর্শ ছুতো তৈরি করে দেয়।