অরাজ
আর্টওয়ার্ক: ব্লাকডেথ শিল্পী: পােকো বাসা সূত্র: কার্টুন মুভমেন্ট
প্রচ্ছদ » নোয়াম চমস্কি।। কোভিড-১৯ নব্য-উদারবাদের সর্বশেষ প্রকাণ্ড ব্যর্থতা

নোয়াম চমস্কি।। কোভিড-১৯ নব্য-উদারবাদের সর্বশেষ প্রকাণ্ড ব্যর্থতা

অনুবাদ: জাকির হোসেন

করোনা ভাইরাস ও তার বিস্তার নিয়ে পৃথিবীব্যাপী সরকারগুলোর অবস্থান এবং মোকোবেলার পথ নিয়ে চলছে নানা তর্ক বিতর্কেএই অবস্থায় ইউরাকটিভের পার্টনার এফি’র সাথে টাকসন শহর থেকে কথা বলেছেন ভাষাবিজ্ঞানী নোম চমস্কি। ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি-এমআইটি থেকে ২০১৭ সালের শীতকালে ইউনিভার্সিটি অব অ্যারিজোনায় অধ্যাপনা শুরু করেন তিনি।অরাজের জন্য সাক্ষাতকারটির চুম্বক অংশ অনুবাদ করেছেন জাকির হোসেন

নোম চমস্কি

কোভিড-১৯ আমাদের কী শিক্ষা দিচ্ছে, এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বিরাজমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ব্যর্থতাগুলোর দিকে আঙুল তোলেন।

“একটি শিক্ষা হলো, এটি পুঁজিবাদের নব্য-উদারবাদী সংস্করণের আরেকটি প্রকাণ্ড ব্যর্থতা। আমরা যদি এ থেকে শিক্ষা না নিই, তাহলে ভবিষ্যতে আরো বাজেভাবে এর পুনরাবৃত্তি ঘটবে।”

“যা ঘটেছে তা খুব পরিষ্কার। ২০০৩ সালের সার্স মহামারীর পরে বিজ্ঞানীরা ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছিলেন যে আরো একাধিক মহামারী (বিশেষত করোনা ভাইরাসেরই আলাদা প্রকরণ)আসছে সামনে। সেই মূহুর্তে এর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব ছিল। অন্যান্য ফ্লুয়ের ক্ষেত্রে যেমনটা হয়েছিল আরকি। প্রতিবছরই নতুন নতুন ফ্লুয়ের ভ্যাকসিন বানানোর প্রয়োজন হয়। কারণ ভাইরাসের মধ্যে কিছু পরিবর্তন দেখা যায়। কিন্তু আপনি যেহেতু এর জন্য আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলেন, সুতরাং আপনি খুব দ্রুতই ভ্যাকসিন তৈরি করে ফেলেন।”

“এইক্ষেত্রে তা করা হয়নি। কারণ কাউকে না কাউকে কাজটি শুরু করতে হতো।”

“দুটি সম্ভাবনা রয়েছে। ঔষধ কোম্পানি: তাদের যথেষ্ট পুঁজি রয়েছে। আমাদের বদান্যতায় তারা বিপুল পরিমাণে ধন-সম্পদের মালিক। তারা তা করবে না। তারা বাজার থেকে আসা সংকেতের অপেক্ষা করবে। বাজার থেকে আসা সংকেত আপনাকে বলবে,কোনো আকস্মিক বিপর্যয়ের অগ্রীম প্রস্তুতি নেওয়াতে কোনো মুনাফা আসবে না।”

“আর তারপরেই আসে উদারবাদী হাতুড়ি: সরকারগুলোকে কোনো কিছু করতে দেওয়া যাবে না। সরকার মূলত নিজেরাই সমস্যা; সমস্যার সমাধান নয়।”

আর্টওয়ার্ক: হেলথ সিস্টেম
শিল্পী: ভাস্কো গারগ্যালো
সিূত্র: কার্টুন মুভমেন্ট

“যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে ব্যাপক বিশৃঙ্খল অবস্থায় আছে। এর দায় পুরোপুরি ওয়াশিংটনের হর্তাকর্তাদের। তারা জানে কিভাবে পৃথিবীর যাবতীয় মানুষকে দোষারোপ করতে হয়, কেবল নিজেদেরকে ছাড়া। যুক্তরাষ্ট্র এখন এই সংকটের উপকেন্দ্র। এটিই একমাত্র অকর্মা দেশ, ‍যারা কিনা ওয়ার্ল্ড হেলথ্ অরগ্যানাইজেশনকে তাদের সংক্রমিত ও মৃত রোগীর তথ্যটাও ঠিকমতো দিতে পারেনি।”

এই সংকট ঠেকাতে ট্রাম্প প্রশাসনের নেওয়া পদক্ষেপকে চমস্কি ‘পরাবাস্তব’ বলে উল্লেখ করেছেন।

“ফেব্রুয়ারীতে এই মহামারী তর্জন-গর্জন শুরু করেছিল। ফেব্রুয়ারীর মাঝামাঝি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের সকলেই একে আমলে নিয়েছিল। সে সময় ট্রাম্প তার পরের বছরের জন্য নতুন বাজেট ঘোষণা করল। তার সেই বাজেট ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন। সেখানে রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র সহ আরো বিভিন্ন সরকারি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত খাতে বরাদ্দ পুনরায় কমানো হয়েছে। এমনকি মহামারী চলাকালীন সময়ে বরাদ্দ আরো কমানো হয়। জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভর শিল্প-কারখানাগুলোতে বরাদ্দ বাড়ানোর ফলে সুসংবদ্ধ মনুষ্যজীবনের ধ্বংস খুব নিকটে ডেকে আনা হয়েছে।”

“উপরোক্ত কার্যাবলীই আপনাকে কতিপয় সোসিওপ্যাথিক ভাঁড়দের স্বভাব সম্পর্কে একটি বার্তা দেবে, যারা কিনা সরকার চালাচ্ছে এবং যাদের কারণে দেশ দুর্দশার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।”

“তারা এখন দোষারোপ করার জন্য মরিয়াভাবে অন্য কাউকে খুঁজছে। চীনকে দোষারোপ করছে, ওয়ার্ল্ড হেলথ্ অরগ্যানাইজেশনকে দোষারোপ করছে। এবং তারা যা করছে তা রীতিমতো অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগ্যানাইজেশনের বরাদ্দ বন্ধ করে দেওয়ার অর্থ কী হতে পারে? এই সংগঠনটি পুরো বিশ্বব্যাপী বিশেষত দরিদ্র দেশগুলোতে গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্য কিংবা ডায়রিয়ায় শিশুমৃত্যুর হার কমানোর মতো বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করে। সুতরাং আপনি আসলে বলছেন: “ঠিক আছে। চলো প্রচুর মানুষকে হত্যা করি! কারণ তাতে হয়তো আমার নির্বাচনী প্রত্যাশা পূরণ হবে!”

করোনা ভাইরাসের হুমকি ঠেকানোর উদ্যোগ নেওয়ার পর ট্রাম্প সংকট সামাল দেওয়া ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন। যদিও তিনি তার পূর্বের ত্রুটিপূর্ণ প্রতিক্রিয়ার বিষয়টি বেমালুম ভুলে গেলেন।

“আপনাকে ট্রাম্পের প্রশংসা করতেই হবে। তিনি সম্ভবত পৃথিবীর সবচেয়ে আত্মবিশ্বাসী মানুষ। পি.টি. বারনামকে তিনি আনাড়ি প্রতিপন্ন করেছেন। তিনি একহাতে একটি ব্যানারে লিখিত “আমি তোমাকে ভালোবাসি। আমি তোমার রক্ষাকর্তা। আমার উপর আস্থা রাখ। আমি তোমার জন্য দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি।” ধরে রেখে অন্য হাত দিয়ে আপনার পেছনে ছুরিকাঘাত করার সামর্থ্য রাখেন। এভাবেই তিনি তার সমর্থকদের সাথে বোঝাপড়া চালিয়ে যাচ্ছেন। সে সকল সমর্থক, তিনি যা-ই করুন না কেন, যারা কিনা তাকে মাথায় তুলে রাখে। বিষয়টি মর্মান্তিক। তিনি এই কাজে দারুণ আগ্রহ জাগানিয়া একটি গণমাধ্যম প্রপঞ্চের সাহায্য পাচ্ছেন। রিপাবলিকানরা শুধু গণমাধ্যমগুলোর মধ্যে ফক্স নিউজ, রাশ লিমবঘ এবং ব্রেইটবার্ট অংশকেই গুরুত্ব দেয়।”

‘‘ট্রাম্প যা বলেন, তারা তারই প্রতিধ্বনি করে মাত্র। ট্রাম্প যদি বলেন, ‘এটা শুধুই একটা ফ্লু। একে এতো গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন নেই।’ তারাও বলবে, ‘ঠিক। এটা শুধুই একটা ফ্লু। একে এতো গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন নেই।’ পরের দিন তিনি বলেন, ‘এটি একটি ভয়াবহ মহামারী। আমিই সর্বপ্রথম বিষয়টি উপলব্ধি করেছিলাম।’ তারা সমস্বরে চিৎকার দিয়ে উঠে বলবে, ‘তিনি হলেন ইতিহাসের সবচেয়ে মহান ব্যক্তি। তার আবিষ্কার হলো এযাবৎকালের সবচেয়ে অপূর্ব আবিষ্কার।”

“এবং এভাবে দিনের পর দিন যায়। ইতিমধ্যে একদিন সকালে ট্রাম্প ফক্স নিউজ দেখে ঠিক করেন সেদিন তার কী বলা দরকার। এটি একটি বিষ্ময়কর প্রপঞ্চ: রুপার্ট মারডক, রাশ লিমবঘ এবং হোয়াইট হাউজের সাইকোপ্যাথটা মিলে দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।”

আর্টওয়ার্ক: পলিটিকস ভাইরাস
শিল্পী: মাহমুদ আব্বাস
সূত্র: কার্টুন মুভমেন্ট

এই মহামারির ফলে প্রকৃতির সাথে মানুষের সম্পর্কের ধরণ পরিবর্তন হবে কিনা, এ প্রসঙ্গে চমস্কি বলেন, এই প্রশ্নের উত্তর আসবে তরুণদের কাছে থেকে।

“ভবিষ্যদ্বাণী করার কোনো উপায় নেই। এটা নির্ভর করছে চলমান ঘটনাবলীর বিষয়ে গোটা পৃথিবীর মানুষ কেমন প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে তার উপর। বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যাপক কর্তৃত্ববাদী এবং দমনমূলক রাষ্ট্রের উত্থান ঘটতে পারে। তাতে করে এই নব্য-উদারবাদী মহামারী বর্তমানের চেয়ে আরো বাজেভাবে ছড়িয়ে পড়বে। আসলে তারা এই মূহুর্তে এটা নিয়েই কাজ করছে। মনে রাখবেন, পুঁজিবাদী শ্রেণি কখনোই স্বীকার করবে না যে তারা প্রতিনিয়ত সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এই মহামারীর মধ্যেও তারা জীবাশ্ম জ্বালানির উপর আরো বেশি বরাদ্দ চাইছে। ন্যূনতম সুরক্ষার নিশ্চয়তা দেয় এমন সবগুলো শর্তকেই তারা অগ্রাহ্য করে যাচ্ছে।”

‘‘যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশ রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠান ট্রাম্পের অধীনে কয়লা উৎপাদকদের অধস্তন সহকারী সংস্থায় পরিণত হয়েছে। গতকালকেই (২৪শে এপ্রিল) তারা কয়লা কারখানার আশেপাশের অঞ্চলগুলোতে মার্কারি এবং অন্যান্য পরিবেশ দূষণকারী পদার্থের উৎপাদনের ব্যাপারে যে বিধি-নিষেধ ছিল তা বাতিল করেছে। এর অর্থ দাঁড়ায়, ‘চলুন, আরো কিছু আমেরিকান শিশু হত্যা করি এবং পরিবেশ ধ্বংস করি। কারণ তাতে করে আপনি কয়লা কোম্পানিগুলোর জন্য আরো বেশি মুনাফা অর্জন করতে পারবেন।’ তারা প্রতিনিয়তই এই কাজ করে যাচ্ছে। প্রত্যেকদিন তাদের কাজের কোনো বিশ্রাম নেই। এর বিরুদ্ধে যদি কেউ নাও দাঁড়ায়, তাহলে স্বয়ং পৃথিবীই সে ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে।’’

কোভিড-১৯ এর ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব বিবেচনা করতে গিয়ে চমস্কি ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে সংহতির অভাবকে দোষারোপ করেছেন।

“আপনি খেয়াল করলে দেখবেন আন্তর্জাতিকভাবে যা ঘটছে, তা খুবই আতঙ্কজনক।’’

“জার্মানি এই সংকটকে ভালোভাবে সামাল দিচ্ছে। তাদের হাসপাতালগুলোর অতিরিক্ত ধারণক্ষমতা ছিল। তাদের অতিরিক্ত রোগনির্ণয় ক্ষমতাও ছিল। তাছাড়া নব্য-উদারবাদী নীতিও তারা কঠোরভাবে অনুসরণ করেনি।’

আর্টওয়ার্ক: রেসপন্ডার
শিল্পী: খালিদ আলবাহ
সূত্র: কার্টুন মুভমেন্ট

‘‘ইতালিতে এই মহামারী মারাত্মকভাবে প্রভাব বিস্তার করেছে। তারা কি জার্মানির কাছে থেকে কোনো সাহায্য পাচ্ছে? সৌভাগ্যবশত তারা সাহায্য পাচ্ছে আটলান্টিকের অপরদিকের ‘পরাশক্তি’ কিউবা থেকে। কিউবা ইতালিতে ডাক্তার পাঠাচ্ছে, চীন পাঠাচ্ছে প্রয়োজনীয় দ্রব্য-সামগ্রী। তাতে করে তারা অন্তত কিছু সাহায্য পাচ্ছে এবং তা-ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনো ধনী দেশ থেকে নয়। এই বিষয়টি আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ চিন্তার যোগান দেবে।”

“কিউবা-ই হলো একমাত্র দেশ যারা কিনা এই মূহুর্তে খাঁটি আন্তর্জাতিকতাবাদ দেখাচ্ছে। এটিই প্রথমবারের মতো নয় যদিও। বিষয়টি আমাদেরকে ভাবতে বাধ্য করে। কিউবা গত ৬০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের দুষ্ট আক্রমণের শিকার হয়ে আসছে। তাদের অর্থনীতির বিকাশ রুদ্ধ হয়ে আছে। দীর্ঘমেয়াদী সন্ত্রাসবাদে জরাজীর্ণ হয়ে আছে তারা। তারপরেও কোনো দিক দিয়ে তারা অলৌকিকভাবে টিকে গেছে এবং পৃথিবীকে প্রতিনিয়ত দেখাচ্ছে আন্তর্জাতিকতাবাদ কী বস্তু।”

“কিন্তু আপনি যুক্তরাষ্ট্রে এই বিষয়ে কথা বলতে পারবেন না। এখানে আপনি কিউবার মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে কথা বলতে পারবেন। যেটা সত্যিই ঘটেছিল কিউবার দক্ষিণ-পূর্বে গুয়ান্তানামো নামক অঞ্চলে, যা কিনা এই গোলার্ধের সবচেয়ে গুরুতর মানবাধিকারের লঙ্ঘনের ঘটনা। যুক্তরাষ্ট্র বন্দুকের নল ঠেকিয়ে কিউবার নিকট থেকে সেটি ছিনতাই করেছিল এবং এখন পর্যন্ত তা ফেরত দেয়নি। কিন্তু এই বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।”

“যুক্তরাষ্ট্রের ভদ্র এবং অনুগত মানুষেরা অন্য কথা বলবে। আপনি চীনকে দোষারোপ করবেন। ‘হলুদ আতঙ্ক‘ জাগিয়ে তুলবেন। আমেরিকার ইতিহাসের গভীরে গেলে দেখবেন,চীনারা আমাদেরকে ধ্বংস করতে আসছে। ঊনিশ শতকের ফিরে গেলে দেখবেন,আপনি এই হলুদ ভীতি যে-কোনো সময়ে জাগিয়ে তুলতে পারছেন।”

“প্রগতিশীল আন্তর্জাতিকতাবাদের একটি ডাক এসেছে। এর ডাক দিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বার্নি স্যান্ডার্স, ইউরোপে ইয়ানিস ভারোফাকিস। ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র এবং পুরো দক্ষিণ গোলার্ধ থেকে প্রগতিশীল উপাদানগুলোকে একত্র করার প্রচেষ্টা চলছে। একে হোয়াইট হাউজে নির্মিত প্রতিক্রিয়াশীল আন্তর্জাতিকতাবাদের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।”

আর্টওয়ার্ক: ওয়ার্ল্ড লিডারশিপ
শিল্পী: মির সুহায়েল
সূত্র: কার্টুন মুভমেন্ট

চমস্কির মতে, ট্রাম্প প্রশাসন “চরম প্রতিক্রিয়াশীল বর্বর রাষ্ট্রগুলো” কে এক জায়গায় নিয়ে আসার চেষ্টা করছে। এদের মধ্যে আছে উপসাগরের তেলবণিক রাজারা, আল-সিসির মিসর, মোদীর ভারত, ডানপন্থী নেতৃত্বাধীন ইসরায়েল, ভিক্টর ওরবানের হাঙ্গেরি এবং আরো অনেকে।

“দিগন্তে একমাত্র সুষ্পষ্ট এবং সত্যিকারের আশার আলো হিসেবে আমি দেখতে পাচ্ছি বার্নি স্যান্ডার্সের নেতৃত্বাধীন প্রগতিশীল আন্তঃর্জাতিকতাবাদের উত্থানকে। স্যান্ডার্সের প্রচারণাকে ব্যর্থ বলে মনে করা হয়। এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। তার প্রচেষ্টা ব্যাপক এবং অবিশ্বাস্য রকমের সফলতা অর্জন করেছে। আলোচনা এবং নীতি-নির্ধারণের ক্ষেত্রটিকে স্যান্ডার্স খুব ভেতর থেকে পরিবর্তন করে ফেলেছেন। কয়েক বছর আগেও যে বিষয়গুলো অপাংক্তেয় ছিল,সেগুলো বর্তমানে নীতি-নির্ধারণী আলাপে কেন্দ্রীয় আলোচ্য বিষয়ে পরিণত হয়েছে। নতুন সবুজ চুক্তির মতো এটিও আমাদের টিকে থাকার জন্য জরুরী।”

মূল সাক্ষাতকার: এখানে

 

 

জাকির হোসেন